মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাস হাটিয়া গ্রামে গান্ধি আশ্রম কেন্দ্র রয়েছে। এখানে গান্ধিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এ আশ্রমপ্রতিষ্ঠা করা হয়। আশ্রমে সেবামূলক বেশকিছু কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। সম্প্রতি ভারতীয় হাইকমিশনার জনাব পিনাক রঞ্জণ চক্রবর্তী আশ্রমটি পরিদর্শনে আসেন। এখানে প্রতিদিন বহুদর্শনাথী আশ্রমটি দেখার জন্য আসেন।
ব্রিটিশ শাসিত ভারত বর্ষে পরাধীনতার শৃংখল মোচনের লক্ষ্যে পরিচালিত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় স্বদেশের হিতব্রতে মানব কল্যাণের লক্ষ্যে গড়ে উঠে জামালপুর গান্ধী আশ্রম। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলনের পথ রেখা ধরেই ১৯৩৪ সালে গান্ধী আশ্রমের প্রতিষ্ঠা। কিংবদন্তী কৃষক নেতা নাছির উদ্দিন সরকার ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। তার জ্যৈষ্ঠ কন্যা রাজিয়া খাতুন ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। আশ্রমের কার্যক্রমের মধ্যে ছিল খাদি কাপড় বোনা থেকে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম, পাঠাগার, স্বাবলম্বন, হস্ত-কারুশিল্প তৈরী, শরীর চর্চা, বৃক্ষ রোপণ, স্বাস্থ্য সেবা সহ স্বদেশের হিতব্রতে বিবিধ কর্মসূচী। স্বদেশ চেতনা ও দেশ প্রেমে তরুন সমাজকে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল আশ্রমের অন্যতম লক্ষ্য। পারিকস্তানী শাসক চক্র ১৯৪৮ সালে বার বার হামলা ও আক্রমন চালিয়ে আশ্রমের বহ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়, টিকে থাকে শুধু অফিস গৃহটি। এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠির উদ্যোগে ২০০৭ সালে ০২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষে জাতিসংঘ আহুত আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে পুনরায় শুরু হয় মানব কল্যাণের জামালপুর গান্ধী আশ্রমের শুভধ্যায়ীনানা কার্যক্রম।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস