জেলা পরিষদ মানব সেবার ব্রত নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের সভ্যতার ক্রম বিকাশের উষা লগ্ন হতে মানুষ যখন সুপেয় পানি, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদার তাগিদ অনুভব করল, ঠিক তখনই জেলা পরিষদ নামক প্রতিষ্ঠানটির প্রয়োজন দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতা ধরে জেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয় জেলা পরিষদ। মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় বা গ্রামে ইঁদারা/কুপ খনন করা হয়। আর রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তির জন্য থানা সদরে দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। দুরদুরান্ত থেকে আগত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের থাকার বিশ্রামের জন্য থানা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয় ডাকবাংলো। বিভিন্ন খাল/নদীপারাপারের জন্য খেয়া নৌকা/ফেরীঘাট স্থাপন করা হয়। এছাড়া মসজিদ মন্দির, গির্জা প্যাগোডাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন কল্পে অর্থ অনুদান করা হয়। এই মহৎ উদ্দেশ্য গুলো নিয়ে জেলা পরিষদ আজও তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
বর্তমানের জেলা পরিষদের কাঠামো বৃটিশ সরকার এ দেশে ক্ষমতায় থাকার সময় প্রতিষ্ঠিত হয়। বৃটিশ সরকার ১৮৭০ সালে বেঙ্গল চৌকিদারী আইন পাশ করেন এবং পরবর্তীতে ১৮৮৫ সালে বেঙ্গল লোকাল সেল্ফ গভর্মেণ্ট অ্যাক্ট পাশ করেন। উক্ত আইনের আওতায় জেলা পর্যায়ে রোড, ব্রীজ, স্বাস্থ্য, দাতব্য চিকিৎসালয়, পানি ও জলের ব্যবস্থা, প্রাথমিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে ক্ষমতা দিয়ে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। জেলা বোর্ডের অর্ধেক সদস্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধি এবং অর্ধেক সদস্য বিদ্যমান ইউপি চেয়ারম্যান/সদস্য ও পৌরসভার চেয়ারম্যান/সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত করা হয়। জেলা প্রশাসককে পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান করে এ ডিস্টিক্ট্র বোর্ড গঠণ করা হয়।
পাকিসত্মান আমলে বেসিক ডেমোক্রেসি অর্ডার,১৯৫৯ জারি করে এ দেশে চার সত্মর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার কাঠামো গঠন করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সরকারীভাবে বিভিন্ন বিভাগ সৃষ্টি করে জেলা পরিষদের বিদ্যমান কার্যক্রম বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। বর্তমানে জেলা পরিষদে সেবামূলক কিছু কার্যক্রম এবং রক্ষণাবেক্ষণসহ কিছু উন্নয়নমূলক কাজের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি সরকার জেলা পরিষদ আইন,২০০০ এর আওতায় জেলা পরিষদে একজন প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছেন এবং সার্কুলারের মাধ্যমে কিছু রেগুলেটরি ফাংশন প্রদান করেছেন।তবে সাংগাঠনিক ভাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে জেলা পরিষদের চীফ একাউন্ট অফিসার হিসেবে আয়ন-বায়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস